হজ যাত্রীদের বিমানের টিকিট মূল্য কমানো হয়নি
২০২৩ সালে হজ যাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। এই ভাড়া অনেক বেশি ও অযৌক্তিক বলে সমালোচিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে এই ভাড়া কমানোর দাবি জানাই। কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কথা না শুনে এই ভাড়া কমান নি।
বিমান মন্ত্রণালয়ের দাবি হলো, জেট ফুয়েল এর মূল্য বৃদ্ধি, নতুন ইঞ্জিন লাগানোসহ বিভিন্ন কারণে বিমান ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছেন এই কারণগুলো যৌক্তিক নয়।
হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ও প্রতিবাদ চলছে। ও হজ যাত্রীদের অনেকেই আশা করেছেন শেষপর্যন্ত বিমান ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২৪ সালের হজের জন্য বিমান ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না তবে বিমান ভাড়া কমানোর দাবিটি এখনো উঠে আছে।
বিমান ভাড়া অতিরিক্ত হওয়ার কারণে অনেক হজ যাত্রী নিবন্ধন করতে পারেনি। কত বুধবার ও বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের শুনানের শেষে হাইকোর্ট থেকে এই ভাড়া কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় গত বুধবার সংসদের একটি স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বিমান ভাড়া কমিয়ে ১ লাখ ৫০০০০ টাকা করার সুপারিশ করেছিলেন।
পবিত্র হজ পালনের সময়সীমা ২১ মার্চ পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে দিয়েছেন চলতি বছরে এই নিয়ে চারবার এর সময়সীমা বাড়ানো হলো।
বিমান মন্ত্রণালয় হজের জন্য এত টাকা নির্ধারণ করলে সাধারণ মানুষের হজে যেতে প্রচুর কষ্ট হবে। তাই ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া কমানোর জন্য হাইকোর্টে আপিল করেছেন এবং ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকাকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তাহলে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই হজে যেতে পারবেন।
মোঃ আওলাদ হোসেন প্রথম আলো পত্রিকাকে বলেছেন, হজের প্যাকেজ প্রশাসনিক পদক্ষেপ এর মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল যা কখনোই উল্লেখ করেনি। এটি সরকারের নীতি নির্ধারণ সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার বিষয়বস্তু।
আগামী ৭ই জুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই হয়েছে। চল চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হয়। তা ছাড়াও বেসরকারিভাবে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১৯৮ জন ব্যক্তি পবিত্র হজে যেতে পারবেন।