পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনের ভাড়া কমল

ঢাকা থেকে ভাঙা রেলওয়ে সেবা চালু হওয়ার পর এর ভাড়া নিয়ে সবার মতবিরোধ ছিল। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন ঢাকা থেকে ভাঙার রেল সেবার ভাড়া কমিয়ে দিয়েছে। ১০ই অক্টোবর ঢাকা থেকে ভাঙার রেলপথ চলাচল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই ভাড়ার ব্যাপারটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণ এই ভাড়ার ব্যাপারটা নিয়ে অনেক অসন্তুষ্ট ছিল বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেনের ভাড়া কমিয়ে দিলেন।

ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত আমন্ত্রনগর ট্রেনের ভাড়া আগে ছিল ৩৫০ টাকা। তা কমিয়ে ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ভাড়া কমেছে ১১৫ টাকা। এছাড়াও ঢাকা থেকে যশোর ও বেনাপোল পর্যন্ত ভাড়া কমেছে ১১০ টাকা, যা এখন ৪৪৫ টাকা। বেনাপোল পর্যন্ত ভাড়া কমেছে ১২০ টাকা যা এখন ৫০০ টাকা।

ভাড়া কমানোর কারণ হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছেন যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভাড়া কমানোর ফলে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে মানুষের ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যাতায়াতের খরচ কমবে বলে আশা করা হয়েছে।

মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেছিলেন যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ভাড়া কমানো হয়েছিল। মূলত ঢাকা থেকে ভাঙার রেলপথের ভাড়া অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কিন্তু এই ভাড়াটি সাধারণ বাস ভাড়া থেকে অনেক বেশি ছিল। যেহেতু বাস ভাড়া থেকে ট্রেনের ভাড়া বেশি ছিল সেহেতু এটা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ প্রচুর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তাই তারা শেষ পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছেন।

যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ হওয়ার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ সাত সদস্য একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিটি কেরানীগঞ্জ-গেন্ডারিয়া উড়াল পথের ‘পন্টেজ চার্জ সাময়িকভাবে বাদ দেয়। এছাড়াও পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও তা দশ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করে। কিন্তু তাদের সুপারিশ অনুযায়ী পদ্মা সেতুর 10 শতাংশ ভাড়া কমিয়ে দেয়।

নতুন ভাড়া অনুযায়ী ঢাকা থেকে ভাঙা জংশন পর্যন্ত শোভন শ্রেণীর ভাড়া ১৯৫ টাকা, প্রথম শ্রেণীর আসন ৩১০ টাকা, নিয়ন্ত্রিত এসি আসনের ভাড়া ৪৬৫ টাকা এবং বার্থ ট্রেনের ভাড়া ৬৯৫ টাকা। শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া কমে ৪৫৫ টাকা এবং ঢাকা থেকে খুলনার ভাড়া কবে ৫০০ টাকা হয়েছে।

ভাড়ার এই চারটি সাময়িকভাবে কমানো হয়েছে। ভাঙা থেকে গোপালগঞ্জ নড়াইল থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন চালু হলে খুলনা ও বেনাপোল পর্যন্ত দূরত্ব কমবে তখন পয়েন্ট চার্জ আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। পদ্মা সেতুর রেল সঙ্গে প্রকল্পটি 2017 সালে অনুমোদিত হয়েছিল। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল 34 হাজার 988 কোটি টাকা। ছিল 39 হাজার 646 কোটি টাকা। এই রেলপথ নির্মাণের কাজটি। চীনের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান করেছিল।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা ভাঙ্গা রোডে ট্রেন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণ পদ্মার রেলওয়ে সেতু এবং গেন্ডারিয়া কেরানীগঞ্জ উড়াল পথের জন্য অতিরিক্ত দূরত্ব ভাড়া ধরে নির্ধারণ করা হয়েছিল যাত্রীদের চাপের মুখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভাড়া কমিয়ে দিয়েছে। এই ভাড়া সাময়িক সময়ের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে তা যাত্রীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর নতুন রেললাইন চালু হলে আবার ভাড়া বাড়তে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *