প্রথম ট্রেন গেল কক্সবাজার
২০২৩ সালের ১১ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা সঙ্গে কক্সবাজারের সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রথম ট্রেনটি ছিল একটি পরিদর্শন ট্রেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ঠিকাদার, প্রকৌশলী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। ট্রেনটি চট্টগ্রামের দুহাজারী থেকে সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথম ট্রেন গেল কক্সবাজার ।
ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেয় প্রায় চার ঘন্টায়। ট্রেনটিতে স্বপন চেয়ার, এসি চেয়ার, এস এসিড ও এসি বার্থ (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এই রেল পথ চালু হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে এ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য যোগাযোগের সুবিধা বাড়বে।
রেল পথটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। এটি ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং দশটি স্টেশন রয়েছে। ট্রেন টি ৪ ঘন্টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারবে। এই রেলপথ চালু হলে কক্সবাজার বিকাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জন্য যোগাযোগের সুবিধা বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই ট্রেনটি উদ্বোধন করার আগে কয়েক দফায় এর খুঁটিনাটি চেক করে দেখা হয়েছিল এখানে কোন রকমের ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক করে গত ১১ ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। এতে দক্ষিন অঞ্চল অঞ্চল এবং পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভালো ধরনের যোগাযোগ চালু হয়েছে।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর জন্য সবচেয়ে বাধা ছিল কালুরঘাট সেতু। কিন্তু বুয়েটের পরামর্শে কালুরঘাট সেতুটি ভারি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। একই আগস্ট সেটির কাজ শুরু করেছিলেন এবং বর্তমানে এই সেতুটি পুরোপুরি হয়ে গেছে। ১৫ এক্সেল লোডের ইঞ্জিন এই সেতু দিয়ে এখন চলাচল করতে পারবে। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সিরিজের ইঞ্জিন দিয়ে চার নভেম্বর সেতুরের উপর দিয়ে চালিয়ে সাধারণ ট্রায়াল দেওয়া হয়। এবং এই ইঞ্জিন তিনটি চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কোন সমস্যা বা ত্রুটি পাওয়া যায়নি। শহর থেকে বোয়ালখালী অংশ যাতায়াত করে।
যদিও প্রাথমিক অবস্থায় সাত নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে ট্রায়াল ট্রেন চালানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার জন্য পরে সেটি সরিয়ে ১১ ই নভেম্বর নেওয়া হয়।