ট্রেনের আগাম টিকিট পেতে প্রথম মিনিটেই ১২ লাখ লগইন
শুক্রবার, ২০২৩ সালের ৮ই এপ্রিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপলক্ষে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো টিকিট বিক্রির শুরুর প্রথম দিনের প্রথম মিনিটেই প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ রেলওয়ের ওয়েবসাইটের এবং রেল সেবা অ্যাপ এ প্রবেশ করেন। এটি একটি রেকর্ড সংখ্যক লগইন।
টিকিট বিক্রি ঈশ্বরের প্রথম পাঁচ মিনিটে পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলের টিকিটগুলো খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। তবে দুপুরের দিকেও অল্প কিছু টিকিট অবশিষ্ট ছিল। বিক্রয় যোগ্য টিকিটের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ হাজার ৭৭৭৮টি। কিন্তু অনলাইনে লগইন করা গ্রাহকের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ লাখ।
টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে বাটন ফোন ব্যবহারকারীদের কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এবারের ঈদ যাত্রায় ট্রেনের প্রায় শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। এতে ভোগান্তি কমে গেলেও টিকিট পাওয়ার প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। টিকিট এই অবস্থায় যাত্রীদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলোঃ
- টিকিট বিক্রি শুরুর আগেই প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করে রাখবেন
- টিকিট কাটার জন্য ভালো একটি ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবেন।
- সম্ভব হলে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করে টিকেট কাটবেন।
- টিকেট কাটার সময় ধৈর্য ধরুন হতাশ হবেন না।
শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছিল ঈদের ট্রেন যাত্রার আগাম টিকিট। এটা মোটামুটি সবযাত্রীরাই জানতো। এবং রেল কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই ট্রেনটা চালু করেছিলেন। কিন্তু রেলের আগাম টিকিট পাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশনে সারারাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো টিকেট পাবার জন্য। এই ভোগান্তের কথা চিন্তা করেই রেল করতে পক্ষ এ অনলাইন সিস্টেম চালু করেছে। এখন থেকে শতভাগ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে এমনটাও জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
যেখানে এক মিনিটেই আট হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি করতে পারে এই ওয়েবসাইটটি। সেখানে পশ্চিম অঞ্চলের মানুষগুলো পাঁচ মিনিটেই ১২২৮৩ টি টিকিটের প্রায় সবই শেষ হয়ে যায়। স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার বলেছিলেন টিকিট বিক্রি শুরুর সাথে সাথেই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে উত্তরবঙ্গ আমি মানুষের অধিক চাহিদা রয়েছে। সকাল ৯টার দিকে রেল সেবা অ্যাপে বেনাপোল এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহী পদ্মা এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের কোন টিকিট পাওয়া যায়নি সব শেষ হয়ে গেছে। shohoz.com এর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন শুরু থেকেই তাদের সার্ভার সচল ছিল। কোন ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরে বিভিন্ন মানুষ তাদের সন্তুষ্টির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন। পাশাপাশি যারা টিকিট পাননি তারা তাদের ক্ষোভের কথাও জানাতে ভুল করেননি। 17 এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রথম দিনে। পাশাপাশি প্রতিদিন এমন ভাবেই ঈদের টিকেটগুলো অগ্রিম কাটা হয়েছিল।