ই টিকেট ওয়েবসাইট | e ticket
অনেকেই আছেন যারা এই টিকেটের সাথে এখনো পরিচিত হতে পারেননি। আমার জানামতে বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর আগে ই টিকেট সিস্টেম চালু হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত গুরুত্ব না থাকায় এটি তেমন একটি আগাতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন এবং বাসের ক্ষেত্রে ই টিকিটের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। ট্রেনের টিকিট তো আপনি ওয়েবসাইট ছাড়া কিনতে গেলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আস্তে আস্তে ই টিকিটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করছে। আজকের আর্টিকেলে কিভাবে ট্রেনের টিকিট ই টিকেট ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করবেন এবং ট্রেনের ই টিকিট ক্রয় করার আসল ওয়েবসাইট কোনটি। এছাড়াও ই টিকেট বলতে আমরা কি বুঝি সেই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
ই টকিট কাকে বলে?
সাধারণত ই টিকিট বলতে বোঝায় একটি ইলেকট্রনিক টিকিট যেটি অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট ক্রয় করা যায়। এটি সাধারণত মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুক করা যায়। এটি সাধারণ কাগজের টিকিটের থেকে ভিন্ন। এই টিকিটটি আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই টিকিট কাটলে আপনাকে প্রিন্ট করার প্রয়োজন পড়ে না বরং একটি ছবি অথবা স্ক্রিনশট রাখলেই হয়।
ই টিকেট ওয়েবসাইট | e ticket
বাংলাদেশ রেলওয়ের এ টিকিটিং ওয়েবসাইট eticket.railway.gov.bd। এটি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে সেরা ই টিকিট ওয়েবসাইট হলো বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। বর্তমানে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য খুবই জনপ্রিয় এই ওয়েবসাইটটি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ট্রেনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছেন না। অথবা ট্রেনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুঁজে পাচ্ছেন না শুধু মাত্র তাদের জন্যইআমার আজকের আর্টিকেল।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটটিতে আপনি তিনটি ধাপে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।
- অনুসন্ধান
- নির্বাচন
- অর্থ প্রদান
এই টিকিটগুলি বাংলাদেশ রেলওয়ের সিসিএসআরটিএস দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জারি করা হয়।
ই-টিকিট ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য
- ট্রেন, ট্রেন নম্বর, গন্তব্য, যাত্রার দিন এবং সময় সহ সবকিছু বিচার বিবেচনা করে ট্রেন অনুসন্ধান করা যায় এবং সিলেক্ট করা যায়।
- ট্রেনের আসন গুলি সিরিয়াল অনুযায়ী দেখানো হয় সেখান থেকে আপনি পছন্দ মতন আসন সিলেক্ট করতে পারবেন।
- টিকিটের মূল্য অনলাইনে দেওয়া থাকে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী টিকিট কাটতে পারবেন।
- টিকিটগুলি ইমেইলের পাঠানো হয়। এছাড়াও একটি ছবি থাকে যেটি আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ই টিকিটের সুবিধা
এই টিকিট ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিটের হয়রানি থেকে মুক্ত করা গেছে। এছাড়াও রেল বিমান, বাস, লঞ্চ, ফেরিতে, সিনেমা, কনসার্ট, খেলাধুলা সহ আরো বিভিন্ন জায়গায় ই টিকিট সিস্টেম চালু হয়েছে। ই টিকিটগুলির বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে
- প্রথমতঃ কাগজের টিকিটের যে আরও সুবিধা জনক এবং পরিবেশবান্ধব।
- দ্বিতীয়তঃ এগুলো সহজে দ্রুত যেকোনো জায়গায় বসে যে কোন সময় এটি বুক করতে পারবেন।
ই টিকিটের অসুবিধা
আমাদের দেশের মানুষগুলো এখনো এই টিকিটের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বশিক্ষিত। যারা সব বিষয় নিয়ে কখনো ভাবেন না এবং এগুলো করার চেষ্টাও করেন না। তাই তারা বিভিন্ন সময় এই টিকিট নিয়ে অবগত না থাকার কারণে। বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে আসেন। মূলত তাদের জন্যই বর্তমানে কিছু টিকিট কালোবাজারি ব্যবসায়ীরা টিকে আছেন। তাদেরকেও যদি এই টিকিটের সুবিধা সম্পর্কে অবগত করা যেত। এবং অনলাইনে কিভাবে টিকিট কাটা যায় সেই সম্পর্কে শিখিয়ে দেওয়া যেত তাহলে তারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ই টিকিটের সুবিধা গ্রহণ করতে পারত।
শেষ কথা
অনেকেই আছেন যারা ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটবেন সেই সম্পর্কে জানেন না। আমার ওয়েবসাইটে সেই সম্পর্কিত অনেক আর্টিকেল রয়েছে আপনি চাইলে যেকোনো একটি আর্টিকেল পড়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানান। সম্পূর্ণভাবে আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ট্রেনর টিকিট সম্পর্কে আরো কিছু আর্টিকেল
- এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট ক্রয় | SMS দিয়ে টিকেট কিনুন
- ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার নিয়ম ২০২৪
- ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার নিয়ম ২০২৪
- ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৪
- মোবাইল ট্রেন টিকেট বুকিং করুন অনলাইনের মাধ্যমে
- বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং
- ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময়
- ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম